নয়া বিশ্বরেকর্ড, টানা ৫ মাস একাই বিমান উড়িয়ে দেশে ফিরল কিশোরী
কখনও বুক দুরদুর করেছে। কখনও মনে হয়েছে এখানে যদি বিমানের যন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে তাহলেই সব শেষ। কিন্তু কথায় বলে বীরভোগ্যা বসুন্ধরা।
কথায় বলে বীরভোগ্যা বসুন্ধরা। সাহসে ভর করে যারা এগিয়ে যায় তারা কীর্তিও রচনা করে। যেমনটা মাত্র ১৯ বছর বয়সেই করে ফেলল এক কিশোরী।
এমন দুঃসাহস বিশ্বের সব কিশোর কিশোরীর জন্যই একটা উদাহরণ। একটা উৎসাহ। বেলজিয়ামের মেয়ে জারা রাদারফোর্ড মাত্র ১৯ বছরে কেবল বিশ্বরেকর্ড লিখল না, জীবন বাজি রেখে হাসল শেষ হাসি।
৫ মাস আগে গত ১৮ অগাস্ট সে একটি ছোট বিমান নিয়ে আকাশের বুকে ভেসে পড়ে। বেলজিয়ামের শহর কোর্টরিক থেকে বিমান নিয়ে যাত্রা শুরু করে।
রুট ম্যাপ তৈরি ছিল। ৩০টি দেশ ছুঁয়ে তার ঘরে ফেরার কথা। কিন্তু বিমানে সে থাকবে একা। একাই বিমান ওড়াবে। যাবতীয় প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করবে। এটাই ছিল শর্ত।
বাবা-মা ২ জনই পাইলট। সেই সূত্রে ছোট থেকেই বিমান বিষয়টি সম্বন্ধে তার সম্যক ধারনা রয়েছে। সেই তালিম আর প্রশিক্ষণকে হাতিয়ার করে সে বেলজিয়ামের আকাশ পার করে উড়তে থাকে বিভিন্ন দেশের ওপর দিয়ে।
জারা জানিয়েছে তার সবচেয়ে বেশি ভয় করেছিল রাশিয়ার সাইবেরিয়ার ওপর দিয়ে ওড়ার সময়। নিচে শুধু বরফ আর বরফ। কোথাও মানুষের চিহ্ন নেই। পারদ মাইনাস ৩০ ডিগ্রি।
রেললাইন নেই, বিদ্যুতের তার নেই, বাড়ি নেই। এমনভাবেই শয়ে শয়ে কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে সে। তখন বারবার মনে হয়েছে এই অবস্থায় যদি তার বিমানের কোনও যান্ত্রিক সমস্যা হয় তাহলে হয়তো সেখানেই তার শেষ।
তবে এসব কিছু হয়নি। ৫ মাসে ৩০টি দেশ ছুঁয়ে জারা ফিরেছে ফের কোর্টরিক শহরে। গড়েছে বিশ্বরেকর্ড। আপাতত সে একটা সপ্তাহ সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে চায়।