অনলাইন খাবার পরিবেশন সংস্থা জোমাটো তার ৫৪১ জন কর্মীকে ছাঁটাই করল। একদিনে ৫৪১ জন কর্মী কর্মহীন হওয়া সংস্থায় রীতিমত হৈচৈ ফেলে দিয়েছে। যদিও সংস্থা সাফাই দিয়েছে তাদের গ্রাহকদের পরিষেবা দিতে এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ওপর আরও নির্ভরতা বাড়াচ্ছে জোমাটো। তাই মানুষের প্রয়োজন কমছে। সে কারণেই ৫৪১ জনকে ছাঁটাই করা হল।
সংস্থার ১০ শতাংশ কর্মী এক্ষেত্রে চাকরি হারালেন। আর যাঁরা রইলেন তাঁরা এখন প্রমাদ গুনছেন। তবে কী এবার তাঁদের পালা? এই প্রশ্নই তুলছেন সকলে। যদিও সংস্থা জানিয়েছে, এতজনকে ছাঁটাই করতে তাঁদেরও খারাপ লাগছে। তাই ২ মাসের মাইনে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের। এছাড়া তাঁদের যে ফ্যামিলি মেডিক্লেম ছিল তাও আগামী জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত বজায় থাকবে। অন্য সংস্থার সঙ্গে কথা বলে এঁদের কোনও ব্যবস্থা হতে পারে কিনা তাও নাকি সংস্থা দেখছে। যদিও জোমাটোর কর্মীদের একাংশ বলছেন ফ্যামিলি মেডিক্লেমের প্রিমিয়াম আগেই দেওয়া আছে। তাই ৫৪১ জনের এখন মেডিক্লেম বন্ধ করলে তাতে সংস্থারই ক্ষতি।
জোমাটো এখন বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ভাড়া করে তাদের কাজ চালাতে। পে রোলে নেওয়ার চাপ তারা কমাতে চাইছে বলে মনে করছেন অনেকে। জোমাটোর ডেলিভারির জন্য এমনিতেই দেশ জুড়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন কর্মী ভাড়া নেওয়া আছে। অর্ডার নেওয়া, গ্রাহকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, তাঁদের নানা পরিষেবা দেওয়া ও সংস্থার দ্রুত ডেলিভারি আরও দ্রুত করতে জোমাটো এখন কম্পিউটারের ওপর নির্ভরতা ক্রমশ বাড়াচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা